জুলকারনাইন সায়েরের বাবার বিয়ে ছিলো দুইটা। প্রথম ঘরের সন্তান হিসেবে সায়ের সবসময় কিছুটা অবহেলিত ছিলো। তাছাড়া শুনেছি সায়েরকে নাকি তার বাবা ত্যাজ্য পর্যন্ত করে একসময়।
পরবর্তীতে তার বাবার আরেক ঘরের বউ ডিওএইচএসে পাওয়া প্লটে বানানো ফ্ল্যাটের ভাগ না দিলে সায়ের যায় সাবেক জেনারেল আজিজের দ্বারে। আজিজের হস্তক্ষেপে দুই ঘরের লোকজন সমঝোতায় আসলে সায়ের থাকার জন্য মাথার উপর ছাদ পায়।
এই ঘটনার পর থেকে বাবাহারা সায়েরের দায়িত্ব নেয় আজিজ, সায়ের নিজেও অনেকদিন পর বাবা খুঁজে পায়। বিদেশ সফর থেকে শুরু করে সবকিছুতে সায়েরকে নিয়েই যেতো সে। তাকে আগলে রাখতে শুরু করে একেবারে সন্তানের মতন।
অথচ সায়ের আবারও নিজের নতুন বাবাকে হারায় সে বাবাকে ঐতিহাসিক এক কট দিয়ে। সে কটটার নাম ছিলো ‘Prime Minister’s Men’। এই নিমকহারামীতে অবশ্য আমরা কিছুটা উপকৃত হই। কিন্তু সায়ের? সে আবার ফাদারলেস হয়ে যায়।
নিজের প্রথম ও আদি বাবার বেলায় সায়ের নিজের বাবাকে এতটাই ভালোবাসতো যে চাঁদাবাজি করতে গেলেও বাপের ইউনিফর্ম পরে যাইতো। লোকটা স্যাডলি বেশিদিন বাঁচে নাই। আর এরপরে যারে বাবা বানাইলো তার ইউনিফর্মটাও বেশিদিন রাখতে দেয়নাই।
সায়েরের এইবার নতুন আরেকটা বাবা হয়েছে। আমি নাম বলবো না কিন্তু আপনারা সবাই জানেন কমবেশি যে আমি কার কথা বলতেসি। এই লোকটার জন্য আমার মায়া হয়। আগের দুই লোকের পরিণতি এই লোকটারও হয় কিনা কে জানে? সায়েরের বাবার রেকর্ড তো বেশি একটা ভালো না।
তাই ফর্টি ইয়ার্স ইন সার্ভিসের বড় বন্ধুকে বলবো সাবধান, কপাল তোমাকে এমন একটা সন্তান দিয়ে গেছে যাকে তুমি পয়দাও করো নাই। কিন্তু সে আবার তোমার পয়দা করা বাচ্চাকাচ্চার জেনারেশনাল ট্রমায় না পরিণত হয় যাতে সেদিক খেয়াল রাইখো। আজিজের পোলা তো সায়ের ট্রমার পর মাঝ রাস্তায় গাড়ি টাড়ি উল্টায় পরে ছিলো। বড় বন্ধু তাই এমন কাউকে
সন্তান বানাইয়ো না যার বাবাদের সাথে রেকর্ড ভালো না।
আর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট সায়ের, তুমি এত সৎ সাইজো না। সবাইরে এত শাসন কইরো না। তোমার ইতিহাস এলাকার মানুষ জানে। তাই এত ভং ধরার দরকার নাই যে তুমি খুব ভালো লোক।
আর তাছাড়া খারাপ লোক হওয়াও সমস্যা না। খারাপ লোকও অনেক ভালো কাজ করে। কিন্তু এই মোরাল গেইম আর মাইনষের পাছায় কামড়াকামড়ি থামাও। দেশে ISPR আছে, তোমার আর্মির মাউথ পিস না হইলেও তো চলে। আগের মতন ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম করো পারলে, মানুষের আসলেই উপকার হবে।