কোরবানির পশুর যে ৭টি অংশ খাওয়া হারাম, এমন কোন নির্দিষ্ট হাদিস বা কোরআনের আয়াত নেই।
ইসলামে কোরবানির পশুর প্রায় সব অংশই খাওয়া জায়েজ। তবে কিছু অংশ যেগুলো সাধারণত খাওয়া হয় না বা খাওয়া কাম্য নয়, সেগুলো হল:
- রক্ত: রক্ত খাওয়া ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ।
- গোশতের সাথে লেগে থাকা চুল: কোরবানির পশুর চুল সাধারণত গোশত থেকে আলাদা করে ফেলা হয়।
- হাড়: হাড় সাধারণত খাওয়া হয় না, তবে কিছু ক্ষেত্রে হাড়ের গুঁড়া খাওয়া জায়েজ হতে পারে।
- পিত্ত: পিত্ত খাওয়া নিষেধ।
- মূত্রথলি: মূত্রথলি খাওয়া নিষেধ।
- লিম্ফ নোড: লিম্ফ নোড খাওয়া নিষেধ।
কেন কিছু অংশ খাওয়া হয় না:
- স্বাস্থ্যগত কারণ: কিছু অংশ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
- সামাজিক প্রথা: কিছু অংশ সাধারণত খাওয়া হয় না, এটি একটি সামাজিক প্রথা।
- ধর্মীয় মতামত: বিভিন্ন ধর্মীয় মতামতের ভিন্নতা থাকতে পারে।
কোরবানির গোশত বিতরণ:
কোরবানির গোশত তিন ভাগে ভাগ করা হয়:
- নিজের পরিবারের জন্য: একটি ভাগ নিজের পরিবারের জন্য রাখা হয়।
- আত্মীয়-স্বজনের জন্য: একটি ভাগ আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
- গরীব-মিসকিনের জন্য: বাকি ভাগ গরীব-মিসকিনের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
কোরবানির পশু জবাই করার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে:
- জবাইকারীর দক্ষতা: পশু জবাই করার জন্য দক্ষ এবং অভিজ্ঞ জবাইকারীকে নির্বাচন করা উচিত।
- পশুর যন্ত্রণা কমানো: পশুকে যাতে অতিরিক্ত যন্ত্রণা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- পবিত্রতা: জবাই করার সময় পবিত্রতা বজায় রাখতে হবে।
- আল্লাহর নাম উচ্চারণ: পশু জবাই করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করতে হবে।
উপসংহার:
কোরবানির পশুর প্রায় সব অংশই খাওয়া জায়েজ। তবে কিছু অংশ যেগুলো সাধারণত খাওয়া হয় না বা খাওয়া কাম্য নয়, সেগুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। কোরবানির গোশত বিতরণ এবং জবাই করার সময় ইসলামী শরীয়তের নির্দেশনা অনুসরণ করা জরুরি।